![]() |
মিয়া অ্যাশ নামের ভুয়া ফেসবুক প্রোফাইল দেখিয়ে ছেলেদের আকৃষ্ট করা হচ্ছে। |
একঝলকেই ভালো লেগে যাবে মিয়া অ্যাশকে। অল্প বয়সী, আকর্ষণীয় আর জনপ্রিয়। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে তাঁর প্রোফাইলের সঙ্গে অনেকেই রয়েছে। তাঁর সঙ্গে শখের অনেক মিল পাবেন। ওই অ্যাকাউন্ট থেকে আমন্ত্রণ এলে অনেকে রোমাঞ্চিত হতে পারেন। অনেকে আমন্ত্রণ গ্রহণ করে বন্ধু হিসেবে যুক্ত হয়ে যান।
পুরো প্রক্রিয়াটি শুরু হতে পারে পেশাদার সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম লিঙ্কডইন থেকে। লিঙ্কডইনে যোগাযোগের পর আগ্রহ বেড়ে যায় ফেসবুক-হোয়াটসঅ্যাপেও। লিঙ্কডইনে কিছু কথাবার্তার পর মিয়া অ্যাশের ফেসবুকে বন্ধু হওয়ার আবেদন অনেকে এড়াতে পারেন না।
সব ঠিকঠাক থাকলেও সমস্যা একটাই—ওই সুন্দরী তরুণীর অ্যাকাউন্টটি আসলে ভুয়া। মিয়া অ্যাশ নামে প্রকৃত কারও অস্তিত্ব নেই।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যাঁরা মিয়া অ্যাশ বা এ ধরনের কোনো প্রোফাইলের পেছনে ছুটেছেন, তাঁরা আসলে মরীচিকার পিছু নিয়েছেন। ওই অ্যাকাউন্টের পেছনে এক বা একাধিক হ্যাকার ফাঁদ পেতে রয়েছে। কোনো দেশের সরকারি মদদপুষ্ট হ্যাকার এর পেছনে থাকতে পারে।
অনলাইনে সুন্দরী তরুণীর প্রোফাইল তৈরি করে তা কাজে লাগিয়ে তথ্য সংগ্রহের পদ্ধতিকে বলা হয় ‘হানিপট’। গোয়েন্দাগিরির দুনিয়ায় হানিপট হচ্ছে কোনো নারীর কোড, যা ব্যবহার করে পুরুষের কাছ থেকে গোপন তথ্য সংগ্রহ বা চুরি করা হয়।
বর্তমান বৈশ্বিক গোয়েন্দা জগতে মিয়া অ্যাশের মতো হানিপট পদ্ধতি নতুন দিগন্ত খুলেছে। হ্যাকাররা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কোম্পানিকে নিয়ে পরিকল্পনা করে এগোচ্ছে। এ ক্ষেত্রে তাদের লক্ষ্য হচ্ছে প্রতিষ্ঠানের পুরুষ কর্মী।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান সিকিউরওয়ার্কসের বিশেষজ্ঞ অ্যালিসন ইউকফ বলেন, যেসব কর্মীর কাছে স্পর্শকাতর তথ্য থাকে কিন্তু অনলাইনে সন্দেহ কম করেন, তাঁদের প্রলুব্ধ করে হ্যাকাররা। এ ক্ষেত্রে চুরি করা ছবি ব্যবহার করে ভুয়া ছবি ব্যবহার করা হয়।
Post a Comment